শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৯ অপরাহ্ন
সুমন খান ক্রাইম রিপোর্টারঃ- মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার মেঘনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ফলে দেখা দিয়েছে গজারিয়া অংশে ভাঙ্গন। এতে আতঙ্কে দিন কাটছে গজারিয়া উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের কয়েক হাজার পরিবারের।
ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে এসে বিভিন্ন প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা দিয়েছিলেন নানান প্রতিশ্রুতি। তেমনিভাবে গত ২মার্চ ২০২০ইং নদীভাঙন কবলিত এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান সাদী। ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শনকালে ইসমানির চর গ্রামের নদীভাঙনের শিকার নদী তীরবর্তী মানুষের ভোগান্তির কথা শোনেন এবং এসব এলাকায় বাঁধ নির্মাণ করা হবে বলে এমনটাই আশ্বাস দিয়েছিলেন গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কিন্তু কালের বিবর্তনে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।
গত ১২ ই আগস্ট বুধবার ২০২০ ইং আগামী কয়েক বছর পর বাংলাদেশের কোথাও নদী ভাঙ্গন থাকবে নাঃ গজারিয়ায় মেঘনা নদীর ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন ও ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রান বিতরণ কালে এসব কথা বলেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম। সে সময় উপমন্ত্রী গজারিয়ায় মেঘনা নদীর তীরবর্তী ভাঙ্গন প্রবন দেড় কিলোমিটার এলাকায় স্থায়ী প্রতিরক্ষামুলক বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে এমনটাই জানিয়েছিল তিনি। উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের ইসমানির চর গ্রামের নদীর তীরবর্তী এলাকায় শুরু হয়েছে ভাঙ্গন। ভাঙ্গন থেকে বাঁচতে বসতঘরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন নদী ভাঙ্গন কবলে পড়া পরিবার। একই অবস্থায় রয়েছে ইসমানির চর বাজার হতে উত্তরপাড়ার সোরাব মিয়ার বাড়ী পর্যন্ত বসবাসরত পরিবারগুলো।
স্থানীয় বাসিন্দা সোরাব মিয়া বলেন, গত কয়েকদিনে ক্রমাগত ঢেউ আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকা বাসিন্দাদের মনে। যেকোনো সময় ইসমানির চর ভাঙ্গন প্রবন এলাকায় বড় আকার ধারণ করতে পারে। নদী ভাঙ্গন রোধে প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
মেঘনা নদী গজারিয়া অংশের সবচেয়ে ভাঙ্গন প্রবণ এলাকা ইসমানির চর, নয়নাগর, গোয়ালগাও ও চর বলাকী। প্রায় প্রতি বছরই এসব এলাকা নদী ভাঙ্গন দেখা দেয়। ভাঙ্গনরোধে মেঘনা নদীর ইসমানির চর গ্রামের অংশে একটি বাঁধ নির্মাণের কথা বলা হলেও দীর্ঘদিনে সেটি নির্মাণ না হওয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হল, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানাবেন বলে জানিয়েছেন তারা।
গজারিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাজুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হল তিনি এ বিষয়ে জানান, নদী ভাঙ্গন বিষয় সম্পর্কে তিনি অবগত নন। তবে তিনি নদীর তীরবর্তী এলাকা পরিদর্শনের যাবে এ সময় তিনি নদী ভাঙ্গন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।